নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ লক ডাউন ভেঙ্গে কারইকারটেক হাট বসিয়েছে ইজারাদাররা। কাইকারটেক হাটের বেশীর ভাগ দোকানদার ও ক্রেতারা হলেন বন্দর উপজেলার। লক ডাউন ভেঙ্গে বন্দর উপজেলার লোক সোনারগাঁয়ে প্রবেশ করায় সোনারগাঁয়ে করোনার ঝুঁকি কয়েকগুন বাড়ছে বলে মনে করছেন সচেতন মানুষেরা।
নারায়ণগঞ্জ সির্ভিল সার্জেনের দেয়া তথ্য মতে নারায়ণগঞ্জে মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা এ পর্যন্ত ৩৩০ জন এর মধ্যে মৃত্যু বরণ করছে ২৬ জন। এ পর্যন্ত বন্দর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী সংক্রমনের সংখ্যা বন্দরে বেশী। এর কারণ হিসেবে তারা দেখেছেন বন্দর আর সদর উপজেলা প্রায় কাছাকাছি। মাঝখানে একটি নদী। এছাড়া বন্দর উপজেলার মানুষ ব্যবসা বানিজ্য থেকে শুরু করে নিত্য দিনের প্রয়োজন ও কাজে কর্মে প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জে আসা যাওয়া করছেন। সে জন্য অন্য উপজেলা থেকে বন্দর উপজেলায় করোনার সংক্রমনের সংখ্যা বেশী। সেজন্য বন্দর উপজেলাকে প্রথম লক ডাউন ঘোষনা করে জেলা প্রশাসক। কিন্তু লক ডাউন উপেক্ষা করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে রবিবার সাপ্তাহিক কাইকারটেক হাট বসায় ইজারাদাররা। সেই কাইকারটেক হাটের বেশীরভাগ দোকানদার ক্রেতা ও বিক্রেতা বন্দর উপজেলার। প্রশাসনের কোন কঠোরতা না থাকায় বন্দর থেকে লক ডাউন ভেঙ্গে শত শত লোক হাট বাজার করতে এসেছেন কাইকারটেক হাটে। বন্দর উপজেলার লোক অবাধে হাটবাজারে আসার কারণে সোনারগাঁয়ে করোনার ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। সোনারগাঁয়ে করোনা সংক্রমন কমাতে কাইকারটেক হাটকে বন্ধ করার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা